Sunday, April 16, 2017

হুমায়ূন আহমেদ




১৬ই এপ্রিল ২০১৭
রাতঃ ১.৫০ মিনিট

গত কয়েকদিন ধরে হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ছি। উনার লেখার স্টাইলটা ধরার চেষ্টা করছি। উনি তার প্রায় উপন্যাসে সাধারনত একটা মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে কাহিনী লিখতেন। ওই পরিবারের আশেপাশে সব সময় একটা ধনী পরিবার থাকে। আর যে জিনিসটা গুরুত্বপূর্ন ওইটা হল, উনি সাধারনত তার সব নায়িকাকে অতি সুন্দরী হিসাবে উপস্থাপন করেন। প্রতি লেখকেরই একটা আলাদা স্টাইল থাকে। যেমন শরৎচন্দ্র মেয়েদের দুঃখ দর্দশা নিয়ে বেশি লিখতেন। সমরেশ মজুমদারও মেয়েদের নিয়ে লিখতেন, তবে তার উপন্যাসে দেশ-বিভাগ ও রাজনিতি কিছুটা থাকতো(অথবা আমি যেগুলা পড়েছি ওইগুলাতে ছিল।)

হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাস একটু বড় হলেই মানুষ মারার ধুম লেগে যায়(আমার মতে)। উনি প্রায়ই একজন বুড়ো মানুষকে মেরে ফেলেন, মারার আগে তাকে নিয়ে একটি আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেন। মরার পর পাঠকদের মনে অনেকটা সমবেদনা সৃষ্টি হয়। এটা অনেকটা “গেইম অফ থ্রোন্স” এর মত। আমার এক বন্ধু এই সিরিজ সর্ম্পকে বলে, “গেইম অফ থ্রোন্সএ একটা চরিত্রকে খুব বড় করে তোলে। মনে হয় তার হাতে অনেক পাওয়ার। তারপর কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে ওই চরিত্র মরে যায়। দর্শকরা বড় ধরনের একটা শক খায়। এতে অনেক টুইস্ট তৈরি হয়। তাই গেইম অফ থ্রোন্স অনেক জনপ্রিয় একটা সিরিজ।”

যদিও হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাসে প্রধান চরিত্র উপন্যাসের মাঝে দিয়ে কখনও মরে যায় না। তবে অনেক সময় শেষে মরে যায়। এতে উপন্যাস পড়ার পরও একটা মায়া লেগে থাকে। আসলে হুমায়ূন আহমেদ খুব চালাক লেখক। তিনি খুব ভালো করেই জানতেন পাঠকরা কি পছন্দ করে। পাঠকদের মনে কিভাবে মায়া তৈরি করা যায়। তাইতো হুমায়ূন আহমেদ আমার খুব পছন্দের একজন লেখক...<3