২০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭
রাতঃ ১২.৪৮ মিনিট
আমার অনেকগুলো শখ আছে। সবারই থাকে, তবে আমার একটু বেশি। তাই আজ এসব নিয়ে লিখতে বসেছি। সবার কমন কিছু শখ আছে যেমন গান শোনা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, ঘুড়ে বেড়ানো, বেশি বেশি করে ঘুমানো, মুভি দেখা কারও কারও আবার বই পড়া। আমার স্পেশাল প্রোগ্রামং করা। এগুলো আমার লাইফে কেমন প্রভাব আছে তা একটু খুলে বলিঃ
গান শোনা
গান শোনা সবারই কমন শখ। গান শোনতে সবাই পছন্দ করে। তবে আলাদা হয় গান
এর ধরন। আমি বাংলা বা হিন্দি গান শুনতে পছন্দ করি। বাংলা গানের মধ্যে তাহসান,
হাবিব, তাওসিফ, এফ এ সুমন, প্রিতম, মিলা, মিনার, পারভেজ, হ্রদয় খান, অর্নব, জেমস,
শিরনামহীন, এশেজ, চন্দ্রবিন্দু, অনুপম রায়, অন্জ্বন দও ইত্যাদি শিল্পি বা ব্যান্ড
এর গান শুনি। বর্তমানে কিছু পুরানো গানও শুনছি। হিন্দি গানের মধ্যে প্রায় গুলাই
মুভির গান, অথবা সানাম, আতিফ আসলাম, প্রিতম বা অরজিৎ সিং এমন টাইপের গান শুনি।
ইংলিশ গানের মধ্যে এক সময় অ্যাখন গান বেশি শুনতাম। এছাড়াও জাস্টিন বিবার, জেনিফার লোপেজ, টেইলর সুইফট, ওয়ান ডিরেকশান
ব্যান্ড এর গান শুনা হয়।
আড্ডা দেওয়া
আড্ডা দেওয়া আমার সময় কাটানোর একটা ভাল পদ্ধতি। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা
আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি। এমন হয় রাতে বন্ধুদের সাথে শুয়েছি, আড্ডা দিতে দিতে
তিন-চার ঘন্টা চলে যায়। আর ক্যাম্পাস এ তো সারা বিকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে রাতের
আটটা-নয়টা বাজে আড্ডা দিতে দিতে। এমন হয় সন্ধ্যায় বসে প্রশান্ত বা আশরাফুলের সাথে
গেইম নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে রাতের এগারটা বেজে যায়।
ঘুড়াঘুড়ি
ঘুড়াঘুড়ি আমার একটা ভালো শখ। আমি ঘুড়তে পছন্দ করি। তবে একা একা ভালো লাগে না। বন্ধুদের
সাথে ঘুড়তে ভালো লাগে। আমরা অনেক প্লান করি। এখনে ঘুড়তে যাব, ওখানে ঘুড়তে যাব। কিন্তু প্রায় সময়ই
যাওয়া হয় না। তারপরও বড় ট্যুর এর মধ্যে খৈয়াছড়া ঝর্না, চাঁদপুর ট্যুর,
রাঙামাটি-বান্দরবন, লালমাই যাওয়া হয়েছে। আরও প্লান আছে চাঁদপুর, কক্সবাজার,
চট্রগ্রাম যাওয়ার প্লান। এছাড়া কুমিল্লার আশেপাশে তো অনেক ঘুড়েছি। এয়ারপোর্ট,
গোমতীর পাড়, রেল-ইস্টিশন, ধর্মসাগর পাড়, বার্ড, ব্লু-ওয়াটার পার্ক, বোদ্ধ-মন্দির,
রুপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার, শালবন বিহার, কোটিলা মুড়া, সামাজিক বন
বিভাগ, জাম্বুরা মোড়, আদিনা মুড়া। এছাড়া ক্যাম্পাসের আশেপাশে কত জঙ্গল, কত টিলা,
পাহাড়ে ঘুরেছি। তবে সবচেয়ে ভাল লাগে ক্যাম্পাস। আমরা প্রায়ই বিকালে ক্যাম্পাসে
ঘুড়ি। তবে রাত বারটার পর ক্যাম্পাস বা শহীদ মিনারে বসে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা।
কারও জন্মদিন বা কারও ব্রেক-আপ এর সিলেব্রেশন করতে রাতে ক্যাম্পাসে ঘুড়াঘুড়ি করি।
ঘুমানো
ঘুম আমার প্রিয় বস্তু। আমি একবার ঘুমালে আর উঠতে মন চায় না। আমি সব
সময় দিনের বারটা-একটার পর উঠি। এগারটায় ক্লাশ থাকলেও বিরক্ত হই। বাড়িতে গেলে হয়ত
মাঝে মাঝে একটু আগে উঠি পড়ি(তাও এগরটার পরে, বাচ্চাদের চিল্লাচিল্লিতে), মাঝে মাঝে
বাড়িতেও একটা-দুটা বেজে যায়। দেরিতে উঠার একটা কারনও আছে, আমি দেরিতে ঘুমাই। আমি
সাধারনত তিনটা-চারটায় ঘুমাতে যাই। সকালে ক্লাশ বা পরিক্ষা থাকলে মাঝে মাঝে দুইটায়
শুয়ে পড়ি। কিন্তু সব সময়ই আমার ঘুম আসতে এক-দেড় ঘন্টা লেগে যায়। মাঝে মাঝে তো
দুই-তিন ঘন্টা।
আমি ঘুমানো সময় গল্প করতে পছন্দ করি। কিন্তু সব সময়ই একা একা ঘুমানো
হয়। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ঘুমাতে গেলে দুই-তিন ঘন্টা আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেই।
বই পড়া
আমার সবচেয়ে পছন্দের একটা কাজ হলো বই পড়া। বই পড়া আমার ছোটকালের
অভ্যাস। আমি বই পড়ার এত নেশা যে, আমি পরিক্ষার আগের রাত গুলোতেও গল্প-উপন্যাস পড়ে
পার করেছি। আমার মনে আছে যখন আমি সাতকাহন পড়তেছিলাম, সারাদিন পড়ে রাত
চারটা-পাঁচটার দিকে ঘুমাতে গেছি, আমার ঘুম আসতেছিল না। পড়ে এক-আধ ঘন্টা পর উঠে
আবার বই হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করছিলাম। হাই-স্কুল বা কলেজে আমার এই নেশাটা বেশি
ছিল। এখন প্রযুক্তি এসেছে, দিয়েছে অনেক কিছু কিন্তু নিয়ে গেছে আবেগ। এখন বই পড়ার
টাইম পাই না, সারাদিন তো কম্পিউটার নিয়েই পড়ে থাকি। বই পড়াটা আমার এতই ভালো লাগে
যে, আমার যখন মন খারাপ থাকে, তখন একটা বই পড়া শুরু করলেই আমার মন ভালো হয়ে
যায়...<3
No comments:
Post a Comment