Wednesday, September 20, 2017

প্রোগ্রামিং



২০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭
রাতঃ ১.১০মিনিট
আমার বর্তমান কালের টপ প্রায়োরিটির কাজ হলো প্রোগ্রামিং। আমি দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ ঘন্টাই কম্পিউটারের সামনে বসে থাকি। মাঝে মাঝে তার বেশির ভাগ সময়টাই কাটে প্রোগ্রামিং করে। আগে যখন ফোর্থ সেমিস্টার বা ওই সময়ে ছিলাম তখন বেশি বেশি প্রোগ্রামিং ব্লগ পড়তাম আর প্রবলেম করতাম। এখন বেশির ভাগই কন্টেস্ট করি, প্রবলেম সলভ তেমন একটা করি না। তবে এখনকার সময় গুলোতে মুভি দেখে বা গেইম খেলে বেশি সময় কাটে। এন্ডয়েড গেইমস খেলি পিসিতে। যেমন ক্ল্যাশ রয়েল, ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান, রাইভাল কিংডম। তবে আমি যতটা সময়ই প্রোগ্রামিং করি না কেন, মনে প্রানে প্রোগ্রামিংকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমি মিড-টার্ম পরিক্ষার আগের রাত গুলাতেও কোডফোর্সেস এর কন্টেস্ট করি। আমার বেশির ভাগ প্রবলেম করা হয়েছে কোডফোর্সেস এ। তবে মাঝে মাঝে লাইটওজে বা ইউভি তেও করা হয়। কার কাছে যেন একটা কথা শুনেছিলাম, যে “আমার জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাকর মূহর্ত হলে কন্টেস্টে সলিউশান সাবমিট করে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা।” আমার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।

মুভি দেখা




২০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭
রাতঃ ১.০৫ মিনিট
মুভি দেখা আমার একটা বড় নেশা। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা মুভি দেখে কাটিয়ে দিতে পারি। এক দিনে পাঁচ-ছয়টার উপরে মুভি দেখার অভ্যাস আমার আছে। তবে ভালো মুভি হতে হবে। আমি এখন আর্ট ফ্লিম একটু বেশি দেখি বা পছন্দ করি। বাংলা, হিন্দী, ইংলিশ যে কোন ধরনের আর্ট ফ্লিম। আর্ট ফ্লিম বলতে কাহিনী, প্রেম, ফ্রেন্ডশীপ বা ছোট্ট একটা ঘটনা কেন্দ্র করে মুভি। আগে মারামারি, গোলাগুলি, অ্যাকশন, সুপার-হিউম্যান মুভি দেখতাম। এখন আর এগুলো ভালো লাগে না। বড় হয়েছি তো, আর কত। আমার পিসিতে এখনও সাত-আটশ এর উপরে মুভি কালেকশান আছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই দেখা। না দেখা মুভি সব সময়ই একশ এর উপরে থাকে। দেখা মুভির মধ্যে কিছু পছন্দের মুভি গুলোঃ বাংলা মুভির মধ্যে ইন্ডিয়ান বাংলা ভালো কিছু আর্ট ফ্লিম আছে, এই গুলা দেখা পড়েযেমনঃ অন্তহীন, বাইশে শ্রাবন, কাটাকুটি, খাঁদ, লোড-শেডিং, অন্য বসন্ত, রন্জনা আমি আর আসবো না, তিতলি এগুলা পছন্দের মুভি। হিন্দি মুভি তো প্রায় গুলাই ভালো। বেশি পছন্দের মুভি আছেঃ থ্রি ইডিটস, অয়েক আপ সিড, ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি। মাসান, ট্রাফিক বা এ উয়েডনেস ডে ভালো লাগে। তবে শাহরুক, আমির বা রনবীর কাপুর এর সব মুভিই পছন্দ। হলিউডের তো মুভি বেশ পছন্দ করতাম কিছু কাল আগেও। উইল স্মিথ, টম হ্যাংক, টম ক্রুজ, রুশেল ক্রু, জনি ডেপ, হিউ জ্যাকম্যান, লিউনাদ্রো ডিউক্রিপ এর প্রায় মুভিই পছন্দের। আমার হলিউডের প্রেম মুভি গুলো খুব ভালো লাগে। সব মিলিয়ে কিছু প্রিয় মুভি হলঃ টাইটানিক, সেইফ হ্যাভেন, ফরবিডেন কিংডম, ফ্লিপড, চেসিং লিবার্টি, ফরেস্ট গাম ইত্যাদি। সিরিজ গুলার মধ্যে হ্যারি পটার, এক্স-ম্যান, স্টার ওয়ার্স, ম্যামি, পাইরাটস অফ দ্যা ক্যারাবিয়ান, জেমস বন্ড ইত্যাদি পছন্দের। আমি এনিমেশন মুভি বেশ পছন্দ করি। যেমনঃ আইস এজ, ডিসপেকেবল মি, কংফু পান্ডা ইত্যাদি


শখ


২০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭
রাতঃ ১২.৪৮ মিনিট

আমার অনেকগুলো শখ আছে। সবারই থাকে, তবে আমার একটু বেশি। তাই আজ এসব নিয়ে লিখতে বসেছি। সবার কমন কিছু শখ আছে যেমন গান শোনা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, ঘুড়ে বেড়ানো, বেশি বেশি করে ঘুমানো, মুভি দেখা কারও কারও আবার বই পড়া। আমার স্পেশাল প্রোগ্রামং করা। এগুলো আমার লাইফে কেমন প্রভাব আছে তা একটু খুলে বলিঃ

গান শোনা
গান শোনা সবারই কমন শখ। গান শোনতে সবাই পছন্দ করে। তবে আলাদা হয় গান এর ধরন। আমি বাংলা বা হিন্দি গান শুনতে পছন্দ করি। বাংলা গানের মধ্যে তাহসান, হাবিব, তাওসিফ, এফ এ সুমন, প্রিতম, মিলা, মিনার, পারভেজ, হ্রদয় খান, অর্নব, জেমস, শিরনামহীন, এশেজ, চন্দ্রবিন্দু, অনুপম রায়, অন্জ্বন দও ইত্যাদি শিল্পি বা ব্যান্ড এর গান শুনি। বর্তমানে কিছু পুরানো গানও শুনছি। হিন্দি গানের মধ্যে প্রায় গুলাই মুভির গান, অথবা সানাম, আতিফ আসলাম, প্রিতম বা অরজিৎ সিং এমন টাইপের গান শুনি। ইংলিশ গানের মধ্যে এক সময় অ্যাখন গান বেশি শুনতামএছাড়াও জাস্টিন বিবার, জেনিফার লোপেজ, টেইলর সুইফট, ওয়ান ডিরেকশান ব্যান্ড এর গান শুনা হয়।

আড্ডা দেওয়া
আড্ডা দেওয়া আমার সময় কাটানোর একটা ভাল পদ্ধতি। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি। এমন হয় রাতে বন্ধুদের সাথে শুয়েছি, আড্ডা দিতে দিতে তিন-চার ঘন্টা চলে যায়। আর ক্যাম্পাস এ তো সারা বিকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে রাতের আটটা-নয়টা বাজে আড্ডা দিতে দিতে। এমন হয় সন্ধ্যায় বসে প্রশান্ত বা আশরাফুলের সাথে গেইম নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে রাতের এগারটা বেজে যায়।

ঘুড়াঘুড়ি
ঘুড়াঘুড়ি আমার একটা ভালো শখ। আমি ঘুড়তে পছন্দ করিতবে একা একা ভালো লাগে না। বন্ধুদের সাথে ঘুড়তে ভালো লাগে। আমরা অনেক প্লান করি। এখনে ঘুড়তে যাব, ওখানে ঘুড়তে যাব। কিন্তু প্রায় সময়ই যাওয়া হয় না। তারপরও বড় ট্যুর এর মধ্যে খৈয়াছড়া ঝর্না, চাঁদপুর ট্যুর, রাঙামাটি-বান্দরবন, লালমাই যাওয়া হয়েছে। আরও প্লান আছে চাঁদপুর, কক্সবাজার, চট্রগ্রাম যাওয়ার প্লান। এছাড়া কুমিল্লার আশেপাশে তো অনেক ঘুড়েছি। এয়ারপোর্ট, গোমতীর পাড়, রেল-ইস্টিশন, ধর্মসাগর পাড়, বার্ড, ব্লু-ওয়াটার পার্ক, বোদ্ধ-মন্দির, রুপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার, শালবন বিহার, কোটিলা মুড়া, সামাজিক বন বিভাগ, জাম্বুরা মোড়, আদিনা মুড়া। এছাড়া ক্যাম্পাসের আশেপাশে কত জঙ্গল, কত টিলা, পাহাড়ে ঘুরেছি। তবে সবচেয়ে ভাল লাগে ক্যাম্পাস। আমরা প্রায়ই বিকালে ক্যাম্পাসে ঘুড়ি। তবে রাত বারটার পর ক্যাম্পাস বা শহীদ মিনারে বসে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। কারও জন্মদিন বা কারও ব্রেক-আপ এর সিলেব্রেশন করতে রাতে ক্যাম্পাসে ঘুড়াঘুড়ি করি।

ঘুমানো
ঘুম আমার প্রিয় বস্তু। আমি একবার ঘুমালে আর উঠতে মন চায় না। আমি সব সময় দিনের বারটা-একটার পর উঠি। এগারটায় ক্লাশ থাকলেও বিরক্ত হই। বাড়িতে গেলে হয়ত মাঝে মাঝে একটু আগে উঠি পড়ি(তাও এগরটার পরে, বাচ্চাদের চিল্লাচিল্লিতে), মাঝে মাঝে বাড়িতেও একটা-দুটা বেজে যায়। দেরিতে উঠার একটা কারনও আছে, আমি দেরিতে ঘুমাই। আমি সাধারনত তিনটা-চারটায় ঘুমাতে যাই। সকালে ক্লাশ বা পরিক্ষা থাকলে মাঝে মাঝে দুইটায় শুয়ে পড়ি। কিন্তু সব সময়ই আমার ঘুম আসতে এক-দেড় ঘন্টা লেগে যায়। মাঝে মাঝে তো দুই-তিন ঘন্টা।
আমি ঘুমানো সময় গল্প করতে পছন্দ করি। কিন্তু সব সময়ই একা একা ঘুমানো হয়। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ঘুমাতে গেলে দুই-তিন ঘন্টা আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেই।

বই পড়া
আমার সবচেয়ে পছন্দের একটা কাজ হলো বই পড়া। বই পড়া আমার ছোটকালের অভ্যাস। আমি বই পড়ার এত নেশা যে, আমি পরিক্ষার আগের রাত গুলোতেও গল্প-উপন্যাস পড়ে পার করেছি। আমার মনে আছে যখন আমি সাতকাহন পড়তেছিলাম, সারাদিন পড়ে রাত চারটা-পাঁচটার দিকে ঘুমাতে গেছি, আমার ঘুম আসতেছিল না। পড়ে এক-আধ ঘন্টা পর উঠে আবার বই হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করছিলাম। হাই-স্কুল বা কলেজে আমার এই নেশাটা বেশি ছিল। এখন প্রযুক্তি এসেছে, দিয়েছে অনেক কিছু কিন্তু নিয়ে গেছে আবেগ। এখন বই পড়ার টাইম পাই না, সারাদিন তো কম্পিউটার নিয়েই পড়ে থাকি। বই পড়াটা আমার এতই ভালো লাগে যে, আমার যখন মন খারাপ থাকে, তখন একটা বই পড়া শুরু করলেই আমার মন ভালো হয়ে যায়...<3